এই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী প্রচারের পঞ্চম দিন শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইভীর পক্ষে পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেন তার সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধে থাকা শামীম।
সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনী প্রচারে যেতে আইনি বাধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ছোট বোন’ আইভী চাইলে এবং দলীয় সভানেত্রী নির্দেশ দিলে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করে প্রচারে নামতে প্রস্তুত।
তার এই বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এক দশকের বেশি সময় নারায়ণগঞ্জবাসীর স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করা আইভী বলেন, “তিনি পদত্যাগ করুক এটা আমি চাই না। সংসদ সদস্য হিসেবে তার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমার অনুরোধ থাকবে তিনি আইন মেনে সংসদ সদস্য হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করবেন।”
পাঁচ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানকে হারিয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আইভী। তার আগে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক বিরোধের উত্তরাধিকার বয়ে চলা শামীম-আইভীর দ্বন্দ্ব গত কয়েক বছর ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। প্রকাশ্য সভায় পরস্পরের প্রতি বিষোদগারের পাশাপাশি টিভি টকশোতে মারমুখী হয়েছেন দুজন।
এরমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে আইভী এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় দলে অসন্তোষের খবর অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রে আসে। এ প্রেক্ষাপটে শামীম ও তার অনুসারীদের সঙ্গে আইভীকে নিয়ে বসেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলনে আইভীর প্রতি ‘কোনো ধরনের রাগ, ক্ষোভ, অভিমান না থাকার’ কথা জানিয়ে বলেছেন, তার অনুসারী সব নেতাকর্মী শনিবার থেকে আইভীর পক্ষে ভোট চাইতে যাবেন।
দলে মতবিরোধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের দলে কোনো বিভেদ নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে তবে কোনো বিভেদ নেই।”
বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁনমারি এলাকায় গণসংযোগ চালান আইভী।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি প্রচারে বের হলে সাধারণ মানুষ আমার সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসে। আমার সাথে আমার জনগণের ভালোবাসা আছে। জনগণই এই নির্বাচনে আমার প্রতি তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে।”
গণসংযোগ চলাকালে কয়েকশ নারী-পুরুষ ফুল ও ফুলের নৌকা প্রতীক দিয়ে আইভীকে স্বাগত জানান।