বৃহস্পতিবার সংসদে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সরকারের অধীনে যুদ্ধ না করে ওয়ার কাউন্সিল গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ করার প্রস্তাব করায় মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিলেন। পরে জিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করে পুনরায় সেক্টর কমান্ডের দায়িত্ব নেন।
“তিনি (জিয়া) মুক্তিযুদ্ধের সময়ে খুনি খন্দকার মোশতাকের দোসর হিসেবে আলাদা কনফেডারেশন গঠনের চক্রান্তে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশের দূতাবাসের চাকরি দিয়েছিলেন। এসব খুনিদের বিচার বন্ধের আইন করেছিলেন। প্রকৃত পক্ষে জিয়া আদর্শিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।”
মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সৈনিকদের পরিবারকে পুরষ্কৃত করার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।
সব মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়ার চিন্তাভাবনাও সরকারের রয়েছে বলে জানান তিনি।