আপনি ২০০ বছর বাঁচুন, নইলে আমাদের কে দেখবে: হাসিনাকে রওশন

প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজে তিন বার নিরাপত্তা তল্লাসি চালানোর দাবি জানিয়ে শেখ হাসিনার দুইশ বছর আয়ু কামনা করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2016, 02:55 PM
Updated : 8 Dec 2016, 02:59 PM

বৃহস্পতিবার দশম সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে রওশন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে ত্রুটিপূর্ণ বিমানে কেন চড়ানো হল? ওই বিমানে নাকি আগেও সমস্যা হয়েছিল। নাটবল্টু ঢিলা করে সোনা চোরাচালান করা হয়েছিল।”

“আমরা চাই, আপনি ২০০ বছর বাঁচুন। না হলে আমাদের কে দেখবে?” প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন জাতীয় পার্টির এই নেত্রী।

এপ্রসঙ্গে পঁচাত্তর ট্রাজেডি তুলে ধরে রওশন বলেন, “জাতির পিতাকে হারানো একটা দুঃস্বপ্ন ছিল।”

রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, “সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে, কিছু বলছে না। সিরিয়ার আইলান সমুদ্রে পড়েছিল, তখন সারাবিশ্ব কথা বলেছিল। সারাবিশ্বের বিবেক এখন কোথায়? জাতিসংঘ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, আশ্চর্য লাগে।

“হাজার হলেও তারা মানুষ, মানবিক দিক দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কীভাবে চিন্তা করবেন উনি জানেন। শরণার্থী হিসেবে আসলে তারা যাবে না। আমাদের সমস্য। সেটাও একটা চিন্তা।”

মিয়ানমারের সমালোচনা করে রওশন বলেন, “অং সান সু চি নোবেল লরিয়েট। তিনি চুপ করে আছেন। আরেকজন আছে ড. ইউনুস, তিনিও চুপ করে আছেন।”

বিনা বিচারে দীর্ঘদিন অনেকের কারাগারে আটক থাকা নিয়েও কথা বলেন এইচ এম এরশাদপত্নী রওশন।

“জেলের ভিতরে বিনা বিচারে এক যুগ, দু্ই ‍যুগ ধরে কষ্ট পচ্ছে। একটা লোকের জীবন চলে গেল। এগুলো না দেখলে হবে না। এনজিওদের দিয়ে এগুলো মনিটর করলে ভালো হবে।”

“আমি যখন জেলে ছিলাম একটি মহিলা বলেছিল, সে একটি বাড়িতে কাজ করত। ৩-৪ মাসের বাকি বেতন চাইলে ব্লাউজ চুরির অপরাধে জেলে দিল। পরে এনজিওদের দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম,” বলেন রওশন।