এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে শপথ আইন ‘না মানার’ কারণ দেখিয়ে ফের সাক্ষ্য নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে খালেদার করা একটি আবেদন ১ ডিসেম্বর খারিজ করেছিল উচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ বিষয়ে রিভিশন আবেদন করা হয়েছে বলে খালেদার আইনজীবী মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সাক্ষ্য নেওয়ার আগে সাক্ষীদের শপথ নিতে হয়। সাক্ষীর ধর্ম অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার নামে শপথ নিতে হয়। কিন্তু এখানে সেটা করা হয়নি। এটি শপথ আইনের লঙ্ঘন।
“তাই বিধান অনুযায়ী পুনরায় সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ১ ডিসেম্বর সে আবেদন খারিজ হওয়ায় হাই কোর্টে রিভিশন দায়ের করা হয়েছে। এ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।”
বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চে রিভিশন আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগের এ মামলার বিচার চলছে বকশীবাজারে ঢাকার তৃতীয় জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে।
২০১০ সালে দায়ের হওয়া এ মামলার কার্যক্রম আটকাতে এর আগেও বেশ কয়েক দফায় হাই কোর্টে আবেদন করে বিফল হন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মামলায় মোট ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামি হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থনে গত ১ ডিসেম্বর আদালতে নিজের বক্তব্যের একাংশ তুলে ধরেন খালেদা জিয়া। ৮ ডিসেম্বর ফের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
খালেদা জিয়া অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এদের মধ্যে জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।