নেতাকর্মীরা ‘এক থাকলে’ নারায়ণগঞ্জে বিএনপির জয় দেখছেন গয়েশ্বর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা দলীয় ‘দ্বন্দ্ব’ ভুলে এক হয়ে ভোটের প্রচারণায় নামলে ‘ধানের শীষ’ প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা দেখছেন দলটির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2016, 03:55 PM
Updated : 3 Dec 2016, 03:55 PM

শনিবার বিকালে জেলা নেতাদের সঙ্গে এক সভায় দলে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গয়েশ্বর বলেন, “নারায়ণগঞ্জবাসী আপনাদেরকে (বিএনপি) ভোট দিতে চায়। নিজেরা নিজেরা দ্বন্দ্ব করে ভোটারদের অবহেলা করবেন না। ভোটারদের প্রতি সন্মান রাখেন, আস্থা রাখেন, বিশ্বাস রাখেন। ভোটাররা পায়ের লক্ষী, বাড়ি বাড়ি যান, ভোটারদের সালাম দেন। আপনাদের সালাম ফেরত আসবে না, সালাম আপনাদের সফল হবে, সার্থক হবে।

“আমি বলব, যার যার মতো করে আপনারা ভোট চান। আমাদের সম্ভাবনা মোর দেন হান্ড্রেড পারসেন্টে। আমরা যদি এক সঙ্গে, এক হয়ে কাজ করি, আমাদেরকে কেউ হারাতে পারবে না।”

নয়া পল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের মওলানা ভাসানী মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে এই সভা হয়, যাতে জেলার বিভিন্ন পর্য়ায়ের নেতারা অংশ নেন।

এতে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‍“নারায়ণগঞ্জের নেতারা এই নির্বাচনটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলায় যদি সফল হওয়া যায়, তাহলে শুধু সাখাওয়াতের (বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান) বরকতটা নির্ধারিত না, সকলের বরকত নির্ধারিত।”

“প্রতেকটা নেতা-কর্মীর কাছে এই নির্বাচনটা পরীক্ষার। ভোটে যাতে না নিতে পারে, সেজন্য আমাদের সর্তক থাকতে হবে। নির্বাচনটা আপনাদের, ভোট পাহারাও আপনাদের দিতে হবে।”

সরকার জোর করে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের ফল তাদের পক্ষে নিয়ে যেতে পারে আশঙ্কা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “সরকার যদি জোর করে সিটি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যায়, তাহলে সেটি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।”

দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে ‘টেলিভিশন, ক্যামেরা ও সাংবাদিকদের নিয়ে মাথা না ঘামানোর’ পরামর্শও দেন গয়েশ্বর।

সিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য জেলা শহর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি আলাদা নির্বাচনী অফিস খোলা হবে বলে জানান প্রধান সমন্বয়ক। ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারাও সিটি নির্বাচনের প্রচারনায় অংশ নেবেন বলে জানান তিনি।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় এতে অন্যদের মধ্যে জেলা সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুনিরুজ্জামান মুনির, সাবেক সাংসদ আবুল কালাম, গিয়াস উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্থানীয় নেতা আতাউল ইসলাম মুকুল, আজাহারুল ইসলাম মান্নান, আবদুল হালিম জুয়েল, মাজহারুল ইসলাম ময়ুর, মনিরুল ইসলাম রবি, সরকার হুমায়ুন কবীর, আবদুল হাই রাজু, হাজী নুরুউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।