স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে ভোটের ওই তারিখ ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নির্বাচনী বিধি ও আচরণ বিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করে তফশিল ঘোষণার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলা পরিষদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি আমরা পেয়েছি। এখন কমিশন বৈঠক করে সময়সূচি ঘোষণা করবে।”
তিনি বলেন, নির্বাচনী বিধি ও আচরণ বিধির খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, ভেটিংসহ চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
মোখলেসুর রহমান বলেন, “আশা করা যায়, আমাগী মাসের প্রথম ভাগে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল দেওয়া সম্ভব হবে।”
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব জোবাইদা নাসরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ভোটের তারিখ মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দেওয়ার বিধান রয়েছে। পরবর্তীতে কমিশনই এ তারিখ ঠিক করবে।
তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাংলাদেশের ৬১টি জেলা পরিষদে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তাদের মেয়াদপূর্তিতে ডিসেম্বরে প্রথমবারের মত এ নির্বাচন হবে।
নির্বাচন করতে চাইলে জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসকদের পদ ছাড়ার বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত জেলা পরিষদ আইনে। গত ৬ অক্টোবর এই সংশোধনী জাতীয় সংসদের অনুমোদন পায়।
সংশোধিত আইনে আদালত কর্তৃক চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।