২০তম জাতীয় সম্মেলনে নতুন কমিটি গঠনের পরদিন সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগের জেলা নেতাদের সঙ্গে বসেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলে, “বেশি দিন নাই। আর দুই বছর দুই মাস। তিন মাস আগে ইলেকশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এই সময়টা পুরো কাজে লাগাতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।”
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে শুরুতেই পুনর্নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনার হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সভাপতিমণ্ডলীর নতুন সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ফারুক খান, আবদুর রাজ্জাক, সাহারা খাতুন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, আবদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে নেতা-কর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগের একটাই কাজ, তা হল জনগণের কল্যাণ করা, মঙ্গল করা, জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা।”
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে একটি উৎপাত শুরু হয়ে গেছে … জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ। এগুলো বিএনপি-জামাতই সৃষ্টি করেছে, মদদ দিয়েছে।
“আমি অনুরোধ জানাবো, আপনারা আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় ইমাম, ধর্মীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। প্রত্যেক মসজিদে যেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়। কোনো এলাকায় জঙ্গিবাদ থাকবে না, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।”
জনগণের মধ্যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ দারিদ্রমুক্ত হোক। আমরা যে উন্নয়নগুলো করেছি, এই উন্নয়নের প্রচারটা করতে হবে। জনকল্যাণে মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে।
“সামনে ইলেকশন, মনে রাখতে হবে। ইলেকশনের প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণের জন্য কী কী কাজ করলাম, জনগণকে তা জানাতে হবে।”
“আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে আরও উন্নয়ন হবে। অর্থনীতিকে সুসংহত করার জন্য যে কাজগুলো আমরা করে যাচ্ছি…এই কথাগুলো না বললে মানুষজন জানবে কীভাবে?”
এখন থেকেই এসব কাজ শুরু করতে তাগিদ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
“আওয়ামী লীগ যা বলে তা করে। এটা আমরা বার বার প্রমাণ করেছি। আবারো, প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা যা বলেছি, করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষ উন্নত জীবন পাবে। দারিদ্রের কষাঘাত থেকে মুক্তি পাবে।”