সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জায়গাজুড়ে এই প্রদর্শনী শনিবার দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীদের নজর কাড়ে।
উদ্যানের লেকের পশ্চিম পাশে বড় আকারের বিলবোর্ডে তুলে ধরা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।
বড় বড় অক্ষরে ছাপানো এ ভাষণের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসহ কাউন্সিলে আগত অতিথিদের।
তাদেরই একজন ময়মনসিংহ থেকে আসা আওয়ামী লীগ কর্মী আজিজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বঙ্গবন্ধু এই মাঠে ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন। বড় আকারে তুলে ধরা এ ভাষণ দেখছি এবং ছবি তুলছি। এটা আমাদের উজ্জীবিতও করছে।”
‘ছবিতে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের ইন্সটলেশনে ফুটে ওঠে টুঙ্গিপাড়ার ছোট্ট খোকা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার নানা ঘটনাবলি।
খোলা মাঠে চমৎকার করে সাজানো ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম (১৯৮১-১৯৯৬)’ প্রদর্শনীতে স্থান পায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার পর থেকে বর্তমান সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নানা মুহূর্ত।
এছাড়া দুটি পৃথক স্টল থেকে বিভিন্ন প্রকাশনা, শো-পিস, ব্যাজ ও পোস্টারসহ নানা পণ্য বিলির পাশাপাশি বিক্রিও করে সিআরআই।
কাউন্সিলের প্রথম দিনে পুরো সময় সেখান থেকে বিভিন্ন প্রকাশনা সংগ্রহ করেন তৃণমূল থেকে আসা নেতাকর্মীরা। তাদেরকে সারিবদ্ধ করাতে হিমশিমও খেতে হয় সেখানকার কর্মীদের।
এছাড়া জয়বাংলা ও নৌকাখচিত ব্যাজ, মগ, পোস্টার ও চাবির রিং এখান থেকে সংগ্রহ করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গনে ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং যুবলীগের ‘যুবজাগরণ’ পৃথক প্যাভিলিয়ন থেকে বিভিন্ন প্রকাশনা বিক্রি করতে দেখা যায়।