সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনে আগামী ৭ অথবা ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2016, 08:05 AM
Updated : 20 Oct 2016, 09:14 AM

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ওই দুই দিনের মধ‌্যে যে কোনো একদিন সমাবেশ করার জন‌্য তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব‌্যবহারের অনুমতি চাইবেন কর্তৃপক্ষের কাছে।

‘‘আমরা আশা করব, আওয়ামী লীগ যেভাবে সকল রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে, আমরাও ন‌্যূনতম জনসভা করবার অধিকার পাব, আর তাতে তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দি।

৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।

বিএনপি এই দিনকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস এবং জাসদ সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালন করে।

বৃহস্পতিবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথ সভার পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে ১০দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি জানান, ৭ নভেম্বর ভোরে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেবেন খালেদা জিয়াসহ দলের নেতৃবৃন্দ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং মুক্তিযোদ্ধা দলের শোভাযাত্রা হবে ঢাকায়।

দিবসটি পালনে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে পোস্টার ও সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়সহ সকল ইউনিটে এ দিবস পালনের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফখরুল।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে শামসুজ্জামান দুদু, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, মাহবুবুর রহমান শামীম, জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কায়সার কামাল, আমিনুল হক, এবিএম মোশাররফ, আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা, শরীফুল আলম, আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবুল হক নান্নু, আমিরুল ইসলাম আলিম, জয়ন্ত কুণ্ড, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শাহিন শওকত, আবদুল আউয়াল খান, আকন কুদ্দুসুর রহমান, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।