সোমবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ইউনেস্কোযে কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা পড়ে আমরা অবাক হয়েছি এবং বিষয়গুলো হাস্যকরও বটে।
“মনে হয়েছে প্রতিবেদনটি আমাদের দেশের আন্দোলনকারীদের দ্বারা প্রভাবিত। আশা করি সরকারের তরফ থেকে যে জবাব দেওয়া হবে তাতে ইউনেস্কো আশ্বস্ত হবে।”
এর আগে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে গঠিত প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির বৈঠক হয়।
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে ‘মৈত্রী সুপার পাওয়ার থারমাল’ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হবে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের কাছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন নাগরিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেও সরকার বলছে, সুন্দরবনের ক্ষতি না করেই এই কেন্দ্র নির্মিত হবে।
সম্প্রতি ইউনেস্কো এ প্রকল্পের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তা বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
ইউনেস্কোর উদ্বেগের জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে যে প্রকাশনা বের করা হবে তাতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে গঠিত প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির আহ্বায়ক এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বদিউজ্জামান ডাবলু, অসীম কুমার উকিল।