মঙ্গলবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে আজও নতুন করে সমন জারি করা হয়েছে। জন্ম তারিখ নিয়ে আরেকটি মামলা করে সমন জারি করেছে। কোন দেশে বাস করছি? কোথায় যাব আমরা?”
দেশে রাজনৈতিক নেতাদের কোনো সম্মান দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “রাজনৈতিক বড় দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক নেতাদের কোনো সম্মান এখানে কেউ রাখে না এবং রাখে না।
“এই সরকার তা করতে দিচ্ছে না। আজকে সকলকে অস্বীকার করছে, একজন ছাড়া আর কেউ নেই।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার দিনে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন বন্ধের আর্জি জানিয়ে করা এক মামলা আমলে নিয়ে তাকে তলব করেছে ঢাকার মহানগর আদালত।
বঙ্গবন্ধুকে ‘হেয় করতেই’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ ১৫ অগাস্ট জন্মদিন পালন করে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম।
তার আইনজীবী দুলাল মিত্র বলেন, “দণ্ডবিধির ৪৬৯ ধারায় করা এই আবেদনে বলা হয়েছে। খালেদা জিয়া জাতীয় শোক দিবসে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই জন্মদিন পালন করেন বঙ্গবন্ধুর মতাদর্শীদের ছোট করতে এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় শোক দিবসকে ম্লান করার জন্য।”
মামলার আবেদনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার এমআরপির ফটোকপি, বিয়ের কাবিননামা, এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার মার্কশিট এবং ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত খালেদা জিয়ার জীবনবৃত্তান্ত সংক্রান্ত একটি ‘কাটিং’ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন দুলাল।
গত দুই যুগ ধরে ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন হলেও তার আরও কয়েকটি জন্ম দিনের হদিস পাওয়া যায়। তার জন্মসাল নিয়েও দুই রকম তথ্য পাওয়া যায়।