কাসেমের দ্রুত ফাঁসি, জামায়াতের বিচার দাবি

মৃত্যুদণ্ডের রায়ে পুনির্বিবেচনার আবেদন খারিজের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 01:05 PM
Updated : 30 August 2016, 01:05 PM

সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম- বোয়াফসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক বিবৃতিতে সন্তুষ্টির কথা জানায়।

মীর কাসেমের ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ ন্যায়বিচারের পক্ষে’ উল্লেখ করে সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, “মীর কাসেম একাত্তরে মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধের সঙ্গেই শুধু যুক্ত ছিলেন না, তিনি ছিলেন আল-বদর বাহিনী তথা যুদ্ধাপরাধীদের নেতা। স্বাধীনতার পরেও তিনি যুদ্ধাপরাধীদের নেতা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নানা তৎপরতা চালিয়েছেন।”

সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদের ওই বিবৃবিতে রায় দ্রুত কার্যকরের পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও জানানো হয়।

“ব্যক্তির পাশাপাশি যেসব রাজনৈতিক দল ও শক্তি যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিল, তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আদালত কর্তৃক ঘোষিত যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাত-শিবিরকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেমকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ সাজার যে রায় দিয়েছিল, গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও তা বহাল থাকে।

ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ।

আপিল বিভাগের সর্বশেষ রায়কে ‘সত্যের বিজয়’ বলে তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে বোয়াফ।

বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি কবীর চৌধুরি তন্ময় বলেন, “রাজনৈতিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে ধূর্ততার স্বাক্ষর বহনকারী কুখ্যাত রাজাকার মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচারের পাশাপাশি অর্থলগ্নির ষড়যন্ত্রের বিনাশ, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির সত্যের জয় নিশ্চিত হয়েছে।”

তন্ময় বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসির রায় কার্যকরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করে মীর কাসেম আলীর মরদেহ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।”