দলীয় চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের উপস্থিতিতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার এক সভায় বলেছেন, “রাজনীতির শেষ কথা হল জনগণের কল্যাণ।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি লোডশেডিং মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চান। জাতীয় পার্টি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।”
রামপাল বিদ্যুিৎ কেন্দ্রের বিরোধিতার জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের একদিন বাদে রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় একথা বলেন হাওলাদার।
এই সভায় জাতীয় পার্টির জ্যে ষ্ঠ কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য্ ও মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রামপাল ডেড ইস্যু। এটা নিয়ে অনর্থক টানা-হেঁচড়া করার কিছু নেই।”
ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে ১৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, যা বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকিতে ঠেলে দেবে দাবি করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বাম দলগুলো।
এর পর গত ২৪ অগাস্ট সংবাদ সম্মেলন করে রামপাল প্রকল্পকে ‘দেশবিরোধী’ দাবি করে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
যৌথসভায় রামপাল নিয়ে কিছু না বললেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন,“এদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছেন খালেদা জিয়া।
“নব্বইতে ক্ষমতা ছাড়ার পূর্বে আমাকে কথা দেওয়া হল যে সবাইকে নির্বাচন করার সমান সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয় নি। আমাকে এবং আমার দলের নেতাদের জেলে নেওয়া হয়।”