কেঁদে বুক ভাসালেও শান্তি পাবেন না: ফখরুলকে কামরুল

কর্মীদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য ‘মায়া ও দুঃখ’ হচ্ছে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 12:29 PM
Updated : 24 August 2016, 04:56 PM

বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেঁদেছেন। তার জন্য মায়া হয়, ‍দুঃখ হয়।

“অত্যন্ত দুঃখের বলতে চাই, আপনি এমন একটা পাপিষ্ঠ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যারা রাজনীতির নামে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে জড়িত। আপনাকে কাঁদতে হবে, অঝোরে কাঁদতে হবে। তাদের দায়িত্বে যতদিন আছেন, ততদিন আপনার এই কান্না থামবে না।”

“গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসার একটা বাসনা হয়ত আপনি লালন করেন, কিন্তু আপনি ফিরে আসতে পারবেন না। এই পাপিষ্ঠদের সঙ্গে যতদিন আছেন, ততদিন আপনার স্বস্তি নেই, শান্তি নাই, কেঁদে বুক ভাসালেও শান্তি পাবেন না,” বলেন কামরুল।

মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় ফখরুল বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়নের শিকার কর্মীদের কথা বরতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।

মির্জা ফখরুলের কান্না

বুধবার শিল্পকলা একাডেমিতে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তব‌্যে ওই প্রসঙ্গটি আনেন কামরুল।

বিএনপির অভিযোগ প্রত‌্যাখ‌্যান করে এই মন্ত্রী বলেন, “আপনারা সন্ত্রাস করবেন, বোমাবাজি করবেন, আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করবেন, এরপর বলবেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হয়রানি করা হচ্ছে। সেটা হবে না।

“আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে বলে আজকে আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা। যতই ক্ষমতাধর হন না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবেই বিএনপির ‘চরিত্র’ একেবারে পাল্টে গেছে বলে মন্তব‌্য করেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল।

আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত‌্যার ঘটনাটিকে আড়াল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তৎপরতার বিষয়টিও বলেন এই আইনজীবী।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা বক্তব্য দেন।