কেঁদে উঠলেন ফখরুল

বিভিন্ন মামলার মুখোমুখি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে কর্মীদের অবস্থা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2016, 02:51 PM
Updated : 23 August 2016, 03:53 PM

‘আমার দেশ’ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ বন্ধের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ করেন ফখরুল।

এ প্রসঙ্গে ফার্মগেইটের কাছে একটি ঘটনা তুলে ধরে আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, “প্রতিদিন গাড়িতে আসি, যানজটে গাড়ি থামলে দেখি সব ইয়াং ছেলে-পেলে ছুটে আসে। বলে, ‘স্যার আমি তো বিএনপি করতাম লক্ষীপুরে। এতো মামলার ভারে পালিয়ে চলে এসেছি ঢাকায়, এখন এখানে হকারি করছি।”

“রিকশা চালায় আমাদের ছেলেরা ,” বলেই কেঁদে ফেলেন ফখরুল।

“আমি দুঃখিত, আবেগ ধরে রাখতে পারছি না। আমাদের ছেলেদের এ রকম করুন…,” কিছুক্ষণ কান্নার পর ফের শুরু করেন তিনি।

এরপর বক্তব্যে সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমরা আছি। গুম করলে খুঁজে পাওয়া যায় না। এজন্য কি আমরা একাত্তর সালে যুদ্ধ করেছিলাম?

“নতুন নতুন আইন হচ্ছে, এই আইনে এখন কথাও বলা যাবে না, আকারে ইঙ্গিতে যে কোনো কথা বললে সাজা হবে।”

প্রস্তাবিত ওই আইনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালে বা তাতে মদদ দিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে।

গত বছর ডিসেম্বরে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে একাত্তরে নিহতের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে পড়েন খালেদা জিয়া। তার আগে বিএনপি নেত্রীর বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে কয়েকটি সভায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য সমালোচিত হন।

বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা ধরেই নিয়েছি শেষ জীবনে হয়ত জেলেই কাটাতে হবে। যতগুলো মামলা আছে সে সব মামলায় যদি ৫ থেকে ১০ বছর করে জেল হয়, তাহলে ২৫০ থেকে ২৬০ বছর সাজা হবে।

“হে মাবুদ তুমি রক্ষা কর।”