বিএনপি নেত্রীর গুলশান কার্যালয়ে রোববার রাত পৌনে ৯টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে পর বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের কিছু জানানো হয়নি।
তবে জোটের একাধিক নেতা বলেছেন, বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
“রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল দাবিতে কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তাব করলে বিএনপি চেয়ারপারসন তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন,” বলেছেন জোট শরিক জাগপার শফিউল আলম প্রধান।
ভারতের সঙ্গে যৌথ অর্থায়নে বাগেরহাটের রামপালে ১৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জন্য হুমকি হবে বলে দাবি করে আসছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও রাজনৈতিক দল। শুরু থেকে এই প্রকল্প বাতিল দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, যেখানে মূলত বামপন্থি কয়েকটি দলের নেতাকর্মীরা সক্রিয়।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে শফিউল আলম প্রধান ছাড়াও এলডিপির অলি আহমেদ, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যেজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকীব, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী রয়েছেন।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন কর্ম পরিষদের সদস্য আবদুল হালিম।
এছাড়া বৈঠকে জোটের অন্য শরিকদের শীর্ষ নেতাদের প্রতিনিধিত্ব করেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, সাম্যবাদী দলের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ জুলাই গুলশানের ক্যাফেতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার পর ১৩ জুলাই সর্বশেষ জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন খালেদা জিয়া।