রোববার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমাদের দলের কো- চেয়ারম্যান সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন। আমাদের দলের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন টক শো, সেমিনারে যান। তার যাওয়াও সে রকমই ছিল। তিনি ব্যাক্তিগতভাবে সেখানে গিয়েছিলেন।”
গত ১৪ মে জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের পর নবগঠিত প্রেসিডিয়াম কমিটির প্রথম বৈঠক হয় এদিন। প্রেসিডিয়াম বৈঠকে অবশ্য ছিলেন না কাদের।
জি এম কাদেরের অনুপস্থিতির কারণ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, তিনি অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গণমাধ্যমের খবর, কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যেখানে গণফোরাম ছাড়ও জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা ও নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
শনিবার এ বিষয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে কামাল হোসেনের সঙ্গে জিএম কাদের, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামও উপস্থিত ছিলেন।
“কারও সঙ্গে ঐক্য করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত আমাদের নেই। মাননীয় চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা এখন তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দেব।”
সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির নেতাদের ভারত সফর নিয়ে গণমাধ্যমে আসা খবরের ব্যাখ্যায় হাওলাদার বলেন, “আসলে কাউন্সিলের পর থেকে দেশে-বিদেশে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব বেড়ে গেছে। তারা (ভারত) চায় জাতীয় পার্টি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করুক। এই সফরগুলোতে আসলে শুভেচ্ছা ও আশ্বাস বিনিময় হয়েছে।”
গত ১৮ জুন চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভারত সফরে গিয়েছিলেন। এরপর ১ অগাস্ট দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু জাপার ৭ জন সংসদ সদস্যের একটি দল নিয়ে ভারতে যান।
ওই দলে ছিলেন সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, আলতাফ আলী, পীর ফজলুর রহমান, নুরুল ইসলাম, আমির হোসেন ভুইয়া এবং মোহাম্মদ নোমান।