নাশকতা: রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

হরতালে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থানার এক মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 07:23 AM
Updated : 25 July 2016, 09:32 AM

মামলায় পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে সোমবার ঢাকার এক নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুহুল আমিন এই পরোয়ানা জারি করেছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আলম তালুকদার।

বিভিন্ন মামলায় ১০ মাস কারাভোগের পর ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

২০১৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হরতাল চলাকালে পল্লবী এলাকায় হাতবোমা ও পেট্রোলবোমা ছুড়ে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেছিল থানা পুলিশ।

মামলায় আরও যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবি খান সোহেল, বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারি হেলাল।

শাহ আলম তালুকদার বলেন, “আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল কি না- সে সম্পর্কে ২৩ অগাস্ট প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পল্লবী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”

বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তির কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি রাতে নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে রিজভী ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যায়। চার দিনের মাথায় গভীর রাতে সেখান থেকে চুপিসারে বেরিয়ে যান তিনি।

এর পর গোপন স্থান থেকে বিবৃতির মাধ্যমে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বিএনপির এই নেতা। বিএনপির লাগাতার অবরোধের মধ্যে আত্মগোপনে থাকা রিজভীকে ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে বারিধারার এক বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব।

এরপর তিন মাসের কর্মসূচিতে সারা দেশে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় রিজভীকে ৩৬টি মামলায় আসামি করা হয়, যেগুলোতে ৩০ দিনের বেশি সময় তাকে রিমান্ডে রাখে পুলিশ।

এর আগে ২০১৩ সালে ৩০ নভেম্বর বিএনপির নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রিজভীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।