শেখ হাসিনার ডাকের অপেক্ষায় কামাল হোসেন

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ঐক্যের প্রস্তাব নাকচ করার পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ডাক পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2016, 06:45 PM
Updated : 24 July 2016, 07:23 PM

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় নিজের আকাঙ্ক্ষার কথা জানান আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা, যিনি নতুন দল গঠনের পরও একবার শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন জোটে গিয়েছিলেন।

গুলশানে জঙ্গি হামলার পর খালেদা জিয়া সন্ত্রাসবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে জামায়াতের জোটসঙ্গী বিএনপি চেয়ারপারসনের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়।

তবে শেখ হাসিনা একইসঙ্গে বলেন, দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ‘ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়ে গেছে’।

ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের উদ্যোগে ‘তরুণ সমাজ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে কামাল হোসেন বলেন, এই যে ঐক্যের কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী যে দাবি করেছেন, ঐক্য আছে। সেটা এ ব্যাপারে যে, বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না।  ১৬ কোটি মানুষের মানুষের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ মানুষের মধ্যে ঐক্য আছে যে এটা হওয়া উচিৎ না।

“ঐক্য মানে এটা না যে, তা কাগজে হয়ে গেছে। ঐক্য মানে সবার অংশগ্রহণ, তথ্যগুলো সবাইকে দেওয়া, কী অগ্রগতি হচ্ছে তদন্তে, সে অগ্রগতির কথা জানানো, সহযোগিতা করা।”

গণফোরাম সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, “আসুন, আমাদের কথা শুনতে চান? আসুন, দেশে কীভাবে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হয়। “

“তার (খালেদার) সঙ্গে বসতে চান না। আমাদের সঙ্গেও বসতে চান না?”

এরপর তিনি নিজেই বলেন, “ঠিক আছে, বসবেন না। আমরাও তো বসতে পারি। এখানে বসতে পারি। ফুটপাথে বসতে পারি। রাস্তায় দাঁড়াতে পারি। দাঁড়িয়ে কিন্তু আমাদের কথা যদি উচিৎ কথা হয়, হাজার হাজার লোক এই কথাকে গ্রহণ করবে।”

পাশে বসা আবুল কাসেম ফজলুল হক ও রেজা কিবরিয়াকে দেখিয়ে কামাল বলেন, “এদের সাথে নিয়ে মিছিল করে বের হই, দেখেন কোন পুলিশ আমাদেরকে বাধা দিয়ে থামাতে পারে।  থামাতে যদি যায়, তার পরে কী হবে, সেটাও আমি আপনাদেরকে বলতে পারি।

“আমরা যদি সবাই এখান থেকে মিছিল করে বের হই। আমি আপনাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে বলি, চলেন দেখি, কোন সরকার আমাদেরকে বাধা দেয়। বাধা দিলে তার ফলটা কী হয়।”

সরকারের প্রতি নির্ভরশীল কম হতে চাইলেও বাস্তবতার কারণেই তা সম্ভবপর নয় বলে তুলে ধরেন সাবেক মন্ত্রী কামাল হোসেন।

“কারণ পুলিশ তারা নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী তারা নিয়ন্ত্রণ করে। তদন্ত করার ক্ষমতা বিভিন্ন ক্ষমতা তাদের আছে। আমরা চাই, সেগুলোকে যেন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়।”

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আসিফ নজরুল, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদও আলোচনা করেন।