তারেকের সাজা মোকাবেলা ‘রাজনৈতিকভাবে’: ফখরুল

বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মুদ্রাপাচারের মামলায় সাজার বিষয়টি ‘রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা’ করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2016, 08:52 AM
Updated : 3 August 2016, 10:31 AM

শনিবার দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে বিমান বন্দরে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দলের এই অবস্থানের কথা জানান।

ফখরুল বলেন, “সরকার তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। সেজন্য তারা বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমার মাধ্যমে সাজার এই কৌশল নিয়েছে।

“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, তারেক রহমানের মামলা ও সাজার বিষয়টি রাজনৈতিক। আমরা এটি আইনগত ও রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব।”

সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন বিএনপি মহাসচিব। তার সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, নিতাই রায় চৌধুরী ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাও ফিরেছেন।

গত ১৬ জুলাই ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক সেমিনারে যোগ দিতে লন্ডন যায়। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত ১৯ জুলাইয়ের ওই সেমিনারের অংশ নিতে পারেননি বিএনপি মহাসচিব।

মুদ্রা পাচার মামলায় নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে গত বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেয় হাই কোর্ট।

সেই সঙ্গে তারেকের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে। তবে তাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড পরিবর্তন করে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা এ মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া হয়েছিল সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কীনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন এই মামলা একটি রাজনৈতিক মামলা। তারেক রহমান সাহেব দেশের সর্ব বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। রাজনৈতিক কারণেই তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

“আমরা এটিকে আইনগতভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে চাই, সেটাই আমরা করব।”

লন্ডনের সেমিনারের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্রহীন অবস্থা, মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি।”

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব লর্ডসে ‘বাংলাদেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মসিউর রহমান, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দও অংশ নেন।