তারেককে ফিরিয়ে রায় কার্যকরের দাবি ঢাবি ছাত্রলীগের

মুদ্রা পাচার মামলায় উচ্চ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2016, 07:54 AM
Updated : 22 July 2016, 07:55 AM

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

এর আগে মধুর ক্যান্টিনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ।

ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা আলোচিত এ মামলায় জজ আদালত ২০১৩ সালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেককে খালাস দেয়। রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা আপিলের রায়ে বৃহস্পতিবার তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেয় হাই কোর্ট।

বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টাসহ দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানীর অভিযোগে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে মুদ্রা পাচার মামলার রায় কার্যকর করার দাবিতে শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি আয়োজন করে ছাত্রলীগ।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, “পরামর্শ প্রতিষ্ঠানে খুলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়ে সে অর্থ বিদেশে পাচার করায় অর্থ ইতিহাসের কলঙ্ক তারেক রহমান।

“এই অর্থ পাচারকারী খাম্বা তারেক আলাদতের বিচারে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে। তাই তাকে দেশে ফিরে এনে অবিলম্বে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।”

বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেককে গুলশানের রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ‘মূল হোতা’ আখ্যায়িত করে সেদিন ‘তার ফোন কেন ব্যস্ত ছিল’ সে বিষয়েও গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্ত করার দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে তারেকের মুদ্রা পাচার মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকরের দাবি জানানোর পাশাপাশি ‘জঙ্গিদের পরিবারের অবস্থা’ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জঙ্গিদের দেশ নয়। গুলশানের জঙ্গিরা ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে, কিন্তু জঙ্গিদের লাশ তাদের বাবা-মা পর্যন্ত নেননি। কারণ তারাও দেশ ও জাতির কাছে লজ্জিত হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না।”