তারেকের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিয়েছে সিঙ্গাপুর: হানিফ

যেসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তারেক রহমান মুদ্রাপাচার মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন সেগুলো সিঙ্গাপুর সরকারের দেওয়া বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উল-আলম হানিফ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2016, 03:08 PM
Updated : 21 July 2016, 03:09 PM

২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুদকের মামলায় আড়াই বছর আগে নিম্ন আদালতের রায়ে তারেক রহমান খালাস পেলেও হাই কোর্টে আপিলের রায়ে তার সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড হয়েছে।

জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেকের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এই রায় আসার পর বিএনপি বলছে, সরকারের ‘ইচ্ছা পূরণ’ করতেই মুদ্রা পাচার মামলায় নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

বিএপির এই প্রতিক্রিয়ার কঠোর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ।

বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশনের এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপি কি মনে করে তারেক জিয়া নিরাপরাধ? তাহলে সিঙ্গাপুরে তার বিরুদ্ধে কীভাবে মামলা হল?”

“সিঙ্গাপুর সরকার তারেক জিয়ার দুর্নীতির যে তথ্য-প্রমাণ দিয়েছে, সেই ভিত্তিতে তার জেল হয়েছে। তারেক যে দুর্নীতিবাজ তা আদালতের এই রায়ের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে।”

আগে নিম্ন আদালতে তারেক রহমানের খালাসের যে রায় এসেছিল, তা ‘অর্থের মাধ্যমে বিচারকদের’ দিয়ে করানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন হানিফ।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বিচারিক আদালতের ওই বিচারকের ‘প্রভাবিত হয়ে’ তারেককে খালাসের রায় দেওয়ার কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, “ওই রায়ের দুদিন পর পরিবার-পরিজন নিয়ে জজ সাহেব মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। আসার অনুরোধ করার পরেও, এমনকি চাকরি থেকে নোটিস দেওয়ার পরও আজ পর্যন্ত ফিরে আসেননি।”

মুদ্রা পাচরের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর তারেক রহমান এবং তার বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুদক।

মামলায় বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের নির্মাণ কাজ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় এই টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের অ্যাকাউন্টে পাচার করা হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেছিলেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।