বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল বলেন, “মামলাটিতে কোনো সঠিক ম্যাটেরিয়াল ছিল না এবং সাক্ষ্য প্রমাণে তার (তারেক রহমান) মানি লন্ডারিংয়ের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেই জজ আদালত মামলটি থেকে তাকে খালাস দিয়েছিলেন। এটা সরকারের গা জ্বালার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।”
“এরপর সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যক্তিগত হাতিয়ারে পরিণত করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে। আমি তাদের এহেন হিংস্রাশ্রয়ী আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা এ মামলার রায়ে জজ আদালত ২০১৩ সালে তারেককে খালাস এবং তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের রায়ে হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার মামুনের সাজা বহাল রেখে তারেকের খালাসের রায় বাতিল করেছে। বিএনপির এই সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা জরিমানা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ‘রাজনৈতিক ঢাল’ ব্যবহার করে ‘সচেতনভাবে’ আর্থিক অপরাধে জাড়িয়েছিলেন পর্যবেক্ষণ দিয়ে হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়, “তিনি তার রাজনৈতিক উচ্চ শ্রেণির অবস্থান ব্যবহার করে ‘কনসালটেশন ফির’ নামে তার সহযোগীর (গিয়াসউদ্দিন আল মামুন) মাধ্যমে ‘ডার্টি মানি’ অর্জন করেছেন।”
একটি সেমিনারে অংশ নিতে লন্ডনে অবস্থানরত ফখরুল তার বিবৃতিতে বলেন, “নিম্ন আদালতের রায়ের পর সরকার দুদককে দিয়ে আপিল করিয়ে তারেক রহমানকে শাস্তি দিতে উঠে পড়ে লাগে। জজ আদালতের সেই খালাসের রায় প্রদানকারী বিচারক সরকারের রোষানলে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে দেশত্যাগে বাধ্য হন।”
তারেক রহমানের রায় ঘোষণার আগে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ ১১ নেতা-কর্মী আটকের ঘটনারও নিন্দা জানান মহাসচিব।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ এই সরকার দিশেহারা হয়ে শুধু দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে পর্য্দুস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সরকার দিশেহারা অবস্থা কাটাতে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।”
আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জাননো হযেছে ফখরুলের বিবৃতিতে।