“এই বিডিআর এখন বিডিআর নাই। একসময় এরা বাঘ ছিল, এখন বেড়াল। তাদের হাতে বন্দুক আছে, কিন্তু হুকুমও হয় না, নিজেরাও বোধ হয় ভুলে গেছে,” বলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল সেরিনায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
অনুষ্ঠানে থাকা সাবেক সেনা কর্মকর্তা অলি আহমদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে উদ্দেশ করে খালেদা বলেন, “আপনার আর্মির লোক। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আপনারা জানেন না? কেউ কেন কথা বলেন না। জোরে কথা বলেন।
“হাসিনা ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটেছে। ৫৭ জন ভালো ভালো অফিসারকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোকে অবসরে পাঠিয়েছে। এর তদন্ত ঠিকমতো হয়নি, কোনো বিচার হয়নি।”
“এর সঙ্গে কারা জড়িত আমরা জানি। যদি সাহস থাকে এগুলো বলা উচিৎ। সাহস করে এগুলো যখন বলবেন, এসব ঘটনার প্রতিবাদ হবে” সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন তিনি।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন নিহত হন।
ওই ঘটনায় বিদ্রোহের বিচার হয়েছে বাহিনীর আদালতে। পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের মামলার রায়ও হয়েছে, যাতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই নেতারও দণ্ড হয়েছে।
বিজিবির সাম্প্রতিক তৎপরতা নিয়ে খালেদা বলেন, “দেশের মানুষের ওপর গুলি চালাতে বললেন, গুলিটা ফট করে চালিয়েও দেবে। কিন্তু যদি বলেন, আমাদের শত্রু, সীমান্তের ভেতরে ঢুকে মানুষ মেরে যায়, তুমি কেন তাদের গুলি মারতে পারে না?
“মিয়ানমারের মতো দেশ হেলিকপ্টার নিয়ে আমার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, কেন গুলি মারতে পার না? এই বাঘ থেকে বিড়াল হয়েছে। আজকে সরকার সারাদেশের মানুষকে বিড়াল বানিয়ে রাখতে চায়।”
“আজকে সকলকে টাইগারের ভূমিকায় আসতে হবে, লায়নের ভূমিকায় আসতে হবে, তাহলে শুধু দেশটাকে রক্ষা করা যাবে। আমি সবসময় আপনাদের সাথে আছি, থাকব,” বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।