খালেদার বিরুদ্ধে ‘উসকানির’ মামলায় প্রতিবেদন ১ অগাস্ট

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে দুই বছর আগের এক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ফের পিছিয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিলের দিন থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা তা না দেওয়ায় আগামী ১ অগাস্ট নতুন দিন ঠিক করে দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১৯ বার পেছাল বলে জানান বাদী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।

সেসময় তিনি আওয়ামী লীগের কটূক্তিপূর্ণ সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।”

এ বক্তব্যের মাধ্যমে দণ্ডবিধির ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় খালেদার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ওই বছরের ২১ অক্টোবর নালিশি মামলা করেন এবি সিদ্দিকী।

এবি সিদ্দিকী তার মামলায় চারজনকে সাক্ষী করেছেন।

পরে আদালত মামলাটি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শাহবাগ থানার একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ধারায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টার জন্য দুই বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

আর ২৯৫ (ক) ধারায় অন্যের ধর্ম বিশ্বাসের অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে বিদ্বেষমূলক কোনো কাজ করলে দুই বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে।