খালেদাকে থামালে দেশ জঙ্গিমুক্ত হবে: নাসিম

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে থামাতে পারলে দেশ জঙ্গিমুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2016, 01:55 PM
Updated : 28 June 2016, 05:06 PM

মঙ্গলবার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে একজন মাত্র জঙ্গি আছে, আর তিনি হচ্ছেন খালেদা জিয়া। তাকে থামাতে পারলে দেশ জঙ্গিমুক্ত হবে।”

আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, “ভোট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। হরতাল ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানো যাবে না।

“সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচন হবে। খালেদা জিয়া যতই চেষ্টা করেন না, কিছুই করতে পারবেন না। যারা হরতাল আগুন সন্ত্রাস করে, তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হতে পারে না।”

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সমালোচনা করে নাসিম বলেন, “তিনি ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। সিদ্ধান্ত বদল না করলে তিনি সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের নেতা থাকতেন।”

বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “তাকে ধন্যবাদ যে তিনি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।”

নাসিম আরও বলেন, শেখ হাসিনা মধ্যপন্থি, বামপন্থি সবাইকে নিয়েই এগিয়ে চলছেন। এটা জগাখিচুড়ি নয়। দেশ এগিয়ে গেলে সবার লাভ।”

নাসিম প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি ‌‌‌‌‌‌‌‘যোগ ব্যায়ামের ওপর’ কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, “নরেন্দ্র মোদী ও আমাদের তোফায়েল আহমেদ যোগাসন করেন। তোফায়েল আহমেদ গেঞ্জি পরে যোগাসন করেন। মাননীয় অর্থমন্ত্রী, এটা বুঝতে হবে।”

গত ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

পরে বাজেট আলোচনায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র চলবে… তবে কোনো কিছুই প্রধানমন্ত্রীর চলার পথকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

“শেখ হাসিনা আন্তজার্তিকভাবে একজন বরেণ্য নেতা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কায়েম হবে।”

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ায় দেশটির সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আসনের দিকে তাকিয়ে তোফায়েল বলেন, “তিনি সবসময় বক্তৃতা দিয়ে চলে যান। অন্যের বক্তৃতা শোনেন না।”