বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ তাদের এক রিট আবেদনে ওই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
গত ১২ মার্চ সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে দুই ভাগ হয় জাসদ।
এরপর দুই অংশই নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে নিজেদের ‘মূলধারা’ দাবি করে তাদের অনুকূলে জাসদের মশাল প্রতীক বরাদ্দ চায়।
দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ১৩ এপ্রিল ইনু-শিরীন নেতৃত্বাধীন জাসদকে মূলধারা হিসেবে স্বীকৃতি এবং ২৮ এপ্রিল তাদেরকে মশাল প্রতীক দেয় নির্বাচন কমিশন।
রিট আবেদনকারী পক্ষ বলছে, বিধি অনুসরণ না করে ওই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান ১২ মে নির্বাচন কমিশনের রিভিউ করেন। এতে সাড়া না পেয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রিট আবেদনটি করেন তারা।
এই রিট আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল আলম বাবর ও এম মনজুর আলম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।
আইনজীবী মনজুর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিধি অনুসরণ না করে নির্বাচন কমিশন ২৮ এপ্রিল মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেয়। পরে রিভিউ করেও ফল পাওয়া যায়নি।বিধি অনুসরণ না করে তাদের মাশাল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার বৈধতা এবং রিভিউ নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ওই রিটটি করা হয়। আদালত ত্রিশ দিনের মধ্যে রিভিউ নিষ্পিত্তির নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এখন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে নিষ্পত্তি হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ বলেন, রিটে ২৮ এপ্রিলের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়। আদালত ওই নির্দেশ দিয়ে রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করেছেন।