সোমবার সন্ধ্যায় পল্টনে মনিসিং-ফরহাদ ট্রাস্ট ভবন মিলনায়তনে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
নাসিম বলেন, “গুপ্তহত্যার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পরিষ্কার। জামায়াত-বিএনপির নেতৃত্বে এসব ঘটনা ঘটছে। এসব করে যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে জামায়াত-বিএনপি।
“যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের পর জামায়াতের বিরোধিতা করে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তখন খালেদা জিয়া কোনও কথা না বলে নীরব থেকেছেন। জামায়াতের সাথে পরামর্শ করে দেশ জুড়ে নাশকতা চালিয়েছেন।”
“এখন খালেদা জিয়া গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য না দিয়ে জঙ্গিদের পক্ষে কথা বলছে। খুনিদের রক্ষার জন্য চেষ্টা করছে। বর্তমানে গুপ্তহত্যার ঘটনা বিএনপি-জামায়াতের পূর্ব নাশকতার ধারাবাহিকতা।”
‘অব্যাহত গুপ্তহত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে করণীয়’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে গণতন্ত্রী পার্টি।
ইফতারের আগে এই আলোচনা সভায় নাসিম বলেন, “গুপ্তহত্যার টার্গেট করা হচ্ছে নিরীহ মানুষদের। এর মাধ্যমে তাদের (বিএনপি-জামায়াত) লক্ষ্য দুনিয়ার মানুষের সামনে আওয়ামী লীগকে ব্যর্থ প্রমাণ করা। কিন্তু ১৪ দল জনগণকে সাথে নিয়ে খালেদা জিয়ার এই ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবে।”
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, বর্তমান ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ হয় খালেদা জিয়া তার রূপ বদলায়নি। তাই তিনি যতই সংলাপের কথা বলুক না কেন ১৪ দল তার সাথে আপস করবে না।
খালেদা জিয়াকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, “যদি সাহসী হয়ে থাকেন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক দিনের জন্য হলেও ধারণ করে থাকেন তাহলে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বলুন জামায়াতের সাথে আপনাদের কোনও সম্পর্ক নেই।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।