রোজায় স্বস্তি দিন: সরকারকে বিএনপি

রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রেখে মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2016, 12:34 PM
Updated : 31 May 2016, 07:14 PM

রোজার আগে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠছে দাবি করে তার জন্য সরকারের তদারকি না থাকাকে দায়ী করে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই আহ্বান জানান দলটির দুই নেতা।

দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর হাটখোলা রোডে দুস্থদের খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দ্রব্যমূল্য এখনও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সরকার।

“প্রতিদিন দাম বেড়েই চলেছে। মানুষজন দুঃশ্চিন্তার মধ্যে আছে, তাদের নাভিঃশ্বাস উঠেছে। যারা ক্ষমতায় তাদের সঙ্গে যুক্ত একটি গোষ্ঠি এই দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।”

খিলগাঁও জোড়াপুকুর মাঠের সামনে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “কয়েকদিন পর রমজান মাস। এদেশের মুসলমানরা এই মাসটি অত্যন্ত ভক্তিভরে পালন করে থাকেন, তারা একটু স্বস্তি চায়।”

নিয়ন্ত্রণহীন বাজারের জন্য সরকারকে দায়ী করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “সরকারের অনেক চক্র আছে, তার মধ্যে একটি চক্র সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে যাচ্ছে, তাদের পকেট ভারী করছে।”

বর্তমানে নিত্যপণ্যের মজুদ যথেষ্ট রয়েছে জানিয়ে আসন্ন রমজানে বাজার সহনীয় থাকবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।  

মির্জা আব্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগ এলেই লুটপাটের পরিস্থিতি তৈরি করে। উলট পালট করে দে মা, লুটে পুটে খাই- এই যে একটা অবস্থা চলছে, তার জন্য আজ প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে।”

“বাণিজ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা বলতে চাই, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই। এদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো জিনিসপত্রই নেই।”

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলার কথা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, কেউ যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে, সেজন্য এই অবস্থা তৈরি করা হয়েছে।

“প্রতিদিন গুম,খুন, জখম চলছে। এই এলাকায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করেছে। সারাদেশে একরকম খুনের জবাব একদিন সরকারকে দিতে হবে,” বলেন তিনি।

হাটখোলা রোডে ফখরুল বলেন, “দেশে আজ গণতন্ত্র নেই্। মানুষ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আছে। জনগণ আজ গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা মনে করে, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।”

দুটি স্থানেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।

সেলিমা রহমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরীন সুলতানা, শামা ওবায়েদ, মীর শরফত আলী সপু, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, শায়রুল কবির খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মাদারটেক, গেন্ডারিয়া, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুরসহ আটটি স্থানে মঙ্গলবার খাবার বিতরণ করেন খালেদা জিয়া।

তারপর তিনি নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যান। সেখানে জোহরের নামাজ পড়ে তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।