জিয়া ট্রাস্ট: হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার লিভ টু আপিল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2016, 08:58 AM
Updated : 31 May 2016, 08:58 AM

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করা হয় বলে জানান খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।

বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা ওই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরার আবেদন নিম্ন আদালতে নাকচ হওয়ার পর মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে খালেদা জিয়া হাই কোর্টে দুটি আবেদন করলে ১৫ মে তা খারিজ হয়।

ব্যারিস্টার রাগীব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় ২৬ মে আমরা হাতে পাই। এর প্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করা হয়েছে। এখন শুনানির জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” 

এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিয়ে আপত্তি তুলে খালেদার আইনজীবীরা ১৭ এপ্রিল নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার আবেদন করলে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার তা নাকচ করে দেন।

ওই আদেশে বাতিল চেয়ে পরদিন হাই কোর্টে দুটি আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেই আবেদনের ওপর তিন দিন শুনানি শেষে ১৫ মে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়।

মামলার বৃত্তান্ত

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার চার আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ও জেরা শেষে নিম্ন আদালতে ২ জুন শুনানির দিন রয়েছে।