বিএনপি নির্মূলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সরকার: ফখরুল

সরকার মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে বিএনপিকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর আগে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি।

“গতকালই বলেছি, আজো বলছি, সরকারের পুরো ষড়যন্ত্রটাই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে বিএনপিকে নির্মূল করার, নিশ্ছিহ্ন করার একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই চক্রান্তের উদ্দেশ্য হচ্ছে- মামলা-মোকাদ্দমা দিয়ে সমগ্র দলকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে রাখা।”

তবে ‘সরকারের এই ষড়যন্ত্র’ কোনোদিনই সফল হবে না বলে জোর দিয়ে বলেন মির্জা ফখরুল।

প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বিভিন্ন সময়ে এই পরিস্থিতি থেকে বিএনপি জনগণের সঙ্গে জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করছে, সংগ্রাম করেছে এবং সফলও হয়েছে। এবারও হবে ইনশাল্লাহ।”

প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিএনপি সরে যাচ্ছে কি না– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, “নিন্দুক যারা, যারা বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের মুখে এই বক্তব্য। বিএনপি পুরোপুরিভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দর্শন ও আদর্শে বিশ্বাস করে, তারই পথ অনুসরণ করে সামনে দিকে এগিয়ে চলেছে।”

জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন তিনি। আজকে দেশের যে আমরা অর্থনীতি ভিত দেখতে পাই, মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রবর্তন করার মধ্য দিয়ে। আজকের দেশের রাজনীতির যে প্রেক্ষাপট, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবার জন্য সমগ্র জাতিকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে দর্শন ও আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আমরা শপথ গ্রহণ করব।

“আমরা অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাব- এই হচ্ছে আজকের দিনে আমাদের শপথ।”

স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণাসহ সঙ্কটকালে জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কথা স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, তার রাজনৈতিক জীবনে স্বল্পকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন; সমগ্র জাতিকে তিনি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতিতে নিয়ে এসেছিলেন।