বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ‘নতুন বৌয়ের মতো’

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্যদের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2016, 03:49 PM
Updated : 25 May 2016, 03:49 PM

বুধবার এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে সমালোচনা করতে গিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ‘নতুন বৌ’র সঙ্গে তুলনা করেন বিএনপি সমর্থক এই পেশাজীবী নেতা।

জাফরুল্লাহ বলেন, “বিএনপির একটা স্থায়ী কমিটি আছে, ১৯ জনের মতো সদস্য। তার মধ্যে ৫ জন হয় মারা গেছেন অথবা শারীরিকভাবে অসুস্থ। বাকি ১৪ জন। দেশের এই দুর্দিনে এই অবস্থায় সপ্তাহে একটা মিটিংও করেন না তাদের চেয়ারপারসনের সাথে।

“ইদানিং তারা একটা মিটিং করেছিলেন। আমাকে একজন রিপোর্ট করেছেন, সেখানে তারা নতুন বউয়ের মতো ঘোমটা দিয়ে বসেছিলেন শ্বাশুড়ির সামনে। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম অনেক দূরে।”

সম্মেলন করলেও এখনও নতুন স্থায়ী কমিটি হয়নি বিএনপির। সম্মেলনের পর সম্প্রতি খালেদা জিয়া পুরনো স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন।

বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, “দেশে স্বৈরতন্ত্র আছে, এটা সবাই জানে। আমরা এক কঠিন অবস্থায় আছি। দেশের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কী?

“চাবিকাঠি যার কাছে, তারা ঘুমন্ত রাজকন্যা। ঘুমিয়ে আছেন।”

স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে সর্বশেষ বৈঠকে খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিএনপির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে জাফরুল্লাহ বলেন, “এই দলটির দিকে তাকিয়ে আছে দেশবাসী। তারা সংগ্রাম করে ঘুমন্ত রাজকন্যা জাগাবেন, তারা জেগে দেশবাসীকে উদ্ধার করবেন। সেই সম্ভাবনাটা আমি খুব দেখতে পাই না।”

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকীতে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাসাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ।

কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ঢাকার পরিবর্তে কুমিল্লায় করার পরামর্শ দিয়ে তিনি চট্টগ্রামে সরকারি অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রশংসা করেন।

“সব কিছু ঢাকাতে হবে কেন...কিন্তু খালেদা জিয়াও একটা ভালো কাজ করতে পারতেন। ঝড়ের দিনে ঢাকায় ঘরের মধ্যে বসে না থেকে কুমিল্লা শহরে গিয়ে নজরুলের উপরে একটি আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতে পারতেন।”

“আজকে সম্ভবত সেটি ভালো হতো ফখরুল ইসলামের জন্যও। সবকিছু বাঁধা-ধরা বন্দির মধ্যে থাকলে বিএনপির কোনো আশা নেই। হতাশাই এই দলটিকে থাকতে হবে,” বলেন জাফরুল্লাহ।

জাসাসের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বক্তব্য রাখেন।