বুধবার আম্বিয়া ও প্রধানের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা গণমাধ্যমে অবহিত হয়েছি যে, আগামী ২৭-২৮ মে জাসদের নামে মিসেস শিরীন আখতার সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে তথাকথিত জাতীয় কমিটির সভা ডেকেছেন।
“জাসদের বিগত কাউন্সিলের নির্বাচনী অধিবেশনে সাজানো ও ভুয়া ভোটের মাধ্যমে গঠিত ইনু-শিরীন কমিটি হচ্ছে গঠনতন্ত্র বিরোধী ও অবৈধ। সঙ্গত কারণেই তাদের সভা অবৈধ এবং চলমান ঐক্য প্রচেষ্টা বিরোধী।”
গত ১২ মার্চ জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে দুই ভাগ হয় জাসদ। হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারের কমিটির পাশাপাশি কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দীন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের আলাদা কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ বিভক্তি চূড়ান্ত হয়।
এরপর জাসদের দুই অংশই নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে নিজেদের মূল স্রোতধারা হিসেবে দাবি করে মশাল প্রতীক দাবি করে।
দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ১৩ এপ্রিল হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আক্তারের নেতৃত্বাধীন জাসদকে মূলধারা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেয় নির্বাচন কমিশন।
বিবৃতিতে আম্বিয়া ও প্রধান দলের সম্ভাব্য ঐক্য এবং বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় অবিলম্বে সভা প্রত্যাহার করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন।
এতে বলা হয়, “জাসদকে বিভক্ত করে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র হিসেবে এ সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এ সভা বহাল থাকলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই কেবল শক্তিশালী হবে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোন অদৃশ্য শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের দায়িত্ব জাসদের নয়।”
বিবৃতিতে ‘ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি’ প্রতিহত করার জন্য কর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে।