এ মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা বুধবার পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেন।
পলাতক ওই ২৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করা গেল কি না- তা আগামী ১৮ জুলাই প্রতিবেদন আকারে আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
এ মামলার ৩৮ আসামির মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন। বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া, তার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ সাতজন জামিনে রয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে বাকি ২৭ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল, সালাহ উদ্দিন ছাড়াও বিএনপি নেতা বরকতউল্লাহ বুলু ও শরাফত আলী সপু রয়েছেন এই ২৭ জনের মধ্যে।
গুলশানে নিজের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে গতবছর ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লাগাতার অবরোধ ডাকার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু হয়।
এর মধ্যে ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাঠের পুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে অগ্নিদগ্ধ ও আহত হন ৩০ জন। এর মধ্যে নূর আলম নামে এক ঠিকাদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার এসআই কে এম নুরুজ্জামান দুটি মামলা করেন, যাতে অবরোধ আহ্বানকারী বিএনপি চেয়ারপারসনকে করা হয় হুকুমের আসামি।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় করা মামলায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে যাত্রাবাড়ী বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ গত বছরের ৬ মে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ১৯ মে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।