মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আজকে নারায়ণগঞ্জে সেলিম ওসমান একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করলেন আর একাত্তরের মতো টেলিভিশন সেখানে (নারায়ণগঞ্জ) নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি টিভি তো বন্ধ করে নাই। তাহলে সব টিভি ও মিডিয়া তাকে বয়কট করুক না কেন?”
বিএনপির সামর্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় এখন গণমাধ্যমকে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর পরামর্শ দেন গয়েশ্বর।
“তারা (গণমাধ্যম) বলে, আপনারা (বিএনপি) কিছু পারেন না, আপনারা কিছু করেন না ইত্যাদি। আমি বলব, আপনারা যে পারেন না, তাও তো দেখছি। কেন পারেন না? সাগর-রুনির জন্য, পাবলিকের জন্য, কেন পারলেন না?”
বর্তমানে জাতির ‘দুর্দিন’ চলছে দাবি করে তা থেকে উত্তরণে পেশাজীবী হিসেবে সাংবাদিকদেরও সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেছেন এই বিএনপি নেতা।
“শুধু রাজনীতিবিদদের এদেশের জনগণ ইজারা দেয় নাই। আর বিএনপি ইজারা নেয়নি চিরস্থায়ীভাবে যে বিএনপি সব কিছু করবে। সবাইকে মিলেই করতে হবে, সবাই পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে। আমার ভাবতে হবে, আপনাকে আমার পাশে দরকার। আবার আপনাকেও ভাবতে হবে, আমার পাশে দাঁড়ানোর।”
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে মনে করেন গয়েশ্বর।
“কারণটা হলো- তারা রাজনীতি করছে জয়েন্ট ভেঞ্চারে। একজন জাতীয় পার্টি ও আরেকটা আওয়ামী লীগ। সে কারণে রওশন এরশাদ কিছু কয় না, হুসেইন মো. এরশাদ কিছু কয় না, শেখ হাসিনাও কিছু কয় না।”
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় শিক্ষক সমাজও যথেষ্ট প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেনি বলে বিএনপি নেতার পর্যবেক্ষণ।
“আমার ধারণা ছিল, প্রাথমিক শিক্ষক থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আরেফিন (আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক) পর্যন্ত ওই শিক্ষকের মতো রাস্তায় কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে। কিন্তু আমরা সেটা দেখলাম না।
“কারণ দলবাজের ঊর্ধ্বে তিনি উঠতে পারেন নাই। তারা ভাবতে পারেন না যে সে একজন হিন্দু না। তারা ভাবতে পারেন না যে সে একজন শিক্ষক।”