ওয়ান-ইলেভেনের ‘খোয়াব’ পূরণ হবে না: কাদের

বাংলাদেশে আবারও ওয়ান ইলেভেন আসবে- এমন বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপিনেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার এই স্বপ্ন আর কখনই পূরণ হবে না। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2016, 02:56 PM
Updated : 24 May 2016, 02:56 PM

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন সামনে নাকি ওয়ান ইলাভেন আসবে। কেঁচো খুঁড়তে গেলে অনেক বিষধর সাপ বেরিয়ে আসবে, কাজেই কেঁচো খুঁড়তে যাবেন না।”

সোমবার রাজধানীতে এক আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্ববধায়ক সরকার আমলের মতো শীর্ষ সব রাজনীতিককে ‘অচিরেই’ ফের জেলে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “এই সরকার দেশটাকে যেদিকে নিচ্ছে, তাতে আমার মনে হয়, আমাদের হয়ত জেলে যেতে হবে নিকট সামনে। কিছুদিন পর সেই জেলখানায় উনাদের (ক্ষমতাসীন) সঙ্গে আমাদের দেখা হবে। আমার মনে হয়, জেলখানায় আমরা একসঙ্গেই এনজয় করব।

“... শেখ হাসিনা যাদের পরামর্শে যা যা করিতেছেন, ইনু সাহেবরা যা যা উস্কানি দিতেছেন, তাতে আমরা মনে হয়, আবার একটা মহামিলন হবে। হয়ত আমরা আগে গিয়ে জেলখানা পরিষ্কার করব। উনারা একটু পরে যাবেন, উনাদের আমরা রিসিভ করব। তবে সবাইকে যেতে হবে।”

গয়েশ্বরের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বারবার ওয়ান-ইলেভেনের অবতারণা করবেন না। ওয়ান-ইলেভেনের যারা কুশীলব, তাদের অনেকেই শিক্ষা নিয়েছেন।

“ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেই শিক্ষা নিয়েছি। কিন্তু আপনারা এখনও ওয়ান-ইলেভেনের শিক্ষা নিতে পারেননি। সে জন্য আমি বলব, গয়েশ্বর চন্দ্র সাহেব আপনার ‘ওয়ান ইলাভেন’ এর রঙীন খোয়াব আর কোনো দিন পূরণ হবে না। এই রঙীন খোয়াব দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে।”

প্রেধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সেতুমন্ত্রী বলেন, “ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে ছাত্রনেতাদের আকর্ষণীয় হতে হবে।এই আকর্ষণীয় হতে হবে মেধা দিয়ে, লেখাপড়া দিয়ে, যোগ্যতা দিয়ে ও ভালো আচরণ দিয়ে। ১০টা ভালো উন্নয়ন, একটা খারাপ আচরণে ম্লান হয়ে যেতে পারে।”

ছাত্রলীগের হাতেগোনা কিছু কর্মীর খারাপ কাজের জন্য পুরো সংগঠনকে দায়ী করা যায় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “আমার হাতে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ। কিন্তু ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী আমার কাছে কোনোদিন টেন্ডারের জন্য আসেনি। এটা নিয়ে আমি গর্ববোধ করি।

“সচিবালয়ে ছাত্রদলের মতো ছাত্রলীগ যায় না, সচিবালয়ে গিয়ে ছাত্রলীগ ধান্দাবাজি করে না। এটা নিয়ে আমি গর্ব করি। কিন্তু এখানে-ওখানে মাঝে মাঝে যা কিছু হয়, এগুলো কি বন্ধ করা যায় না? গুটিকয়েকের খারাপের জন্য পুরো দল দায়ী হবে না। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এদের শাস্তি দিতে হবে।”

ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।