রিমান্ড বাতিল চেয়ে আসলামের আবেদনে ‍শুনানি মঙ্গলবার

বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে ইসরায়েলের সঙ্গে ‘ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর রিমান্ড আদেশের বৈধতা নিয়ে করা আবেদন মঙ্গলবার শুনবে হাই কোর্ট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2016, 08:05 AM
Updated : 26 May 2016, 11:29 AM

এই আবেদনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাকে আবার রিমান্ডে নেওয়া যাবে না বলেও আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আসলামের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।

পরে ফরহাদ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ আবেদনের ওপর শুনানি করবেন বলে সময় চাওয়া হরে আদালত মঙ্গলবার দিন রাখে।

“এই আবেদনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আসলাম চৌধুরীকে আবার রিমান্ডে নেওয়া যাবে না বলে আদালত আদেশ দিয়েছে। তবে এখন রিমান্ডে থাকলে তা চলমান থাকবে।”

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বলেছি, মঙ্গলবার শুনানি হলে বিষয়টি অকার্যকর হয়ে যাবে। আবার নতুন করে তার জন্য রিমান্ড চাইতে পারে।... আদালত বলেছে, এই আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যস্ত আসলাম চৌধুরীকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়া যাবে না।”

আসলামের করা আবেদনে কয়েকটি জিডির কথা জানিয়ে ‘নন জিআর’ মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার ও সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞসাবাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ডের বিষয়টি তুলে ধরে আবেদনে বলা হয়েছে, এটি আপিল বিভাগের একটি সুপারিশের পরিপন্থি।

রিমান্ডের আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে আসলামের আবেদনে। আর রুল হলে তা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় হাকিম আদালতের দেওয়া রিমান্ড আদেশের কার্যকরিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। ঢাকার ডেপুটি কমিশনারসহ দুইজনকে প্রতিপক্ষ হিসেবে রাখা হয়েছে আবেদনে।

গত ১৫ মে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পরদিন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলামকে আদালতে হাজির করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দশ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে।

ওইদিনই পুলিশ আসলামকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, যা সোমবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পাটির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলামের একটি ছবি সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করছেন, শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে।

তবে বিএনপি ইসরায়েল কিংবা মোসাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আসলামের ওই সফর ছিল ‘ব্যক্তিগত’।

আসলাম ইসরায়েলি রাজনীতিক মেন্দির সঙ্গে ভারতে সাক্ষাতের খবর অস্বীকার করেননি। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, মেন্দি এন সাফাদি যে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা, তা তিনি সে সময় ‘জানতেন না’ ।

আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করার জন্য তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।