গ্যাটকো মামলা : হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার লিভ টু আপিল 

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2016, 09:54 AM
Updated : 10 May 2016, 09:54 AM

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিলটি দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্ট গ্যাটকো মামলা চলবে বলে রায় দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়েছে। এতে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চাওয়া হয়েছে। এখন লিভ টু আপিলটি চেম্বার বিচারপতির আদালতে উত্থাপন করা হবে।”

জরুরি অবস্থার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদার রিট আবেদনে আট বছর আগে রুল ও স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সে সময় জারি করা রুল খারিজ করে গত বছরের ৫ অগাস্ট রায় দেয় বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের বেঞ্চ।

ইতিপূর্বে দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে আদেশের অনুলিপি বিচারিক আদালতে পৌঁছার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়। এরপর ৫ এপ্রিল বিচারিক আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিন নেন বিএনপিপ্রধান।

মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার খোকন।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদার বিরুদ্ধে গ্যাটকোসহ তিনটি মামলা হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।

মামলা হওয়ার পরদিনই খালেদা ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীও এ মামলার আসামি।