কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের বিষয়টি তুলে ধরে তা বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ এক সংসদ সদস্য জানতে চাইলে তার উত্তরে বুধবার সংসদে এতথ্য জানান মন্ত্রী।
তবে এই মনিটরিং সেন্টার কীভাবে তা বন্ধ করবে, তা স্পষ্ট করেননি ইনু।
আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সদস্য পিনু খানের প্রশ্ন ছিল- কিছু অনলাইন পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ব্লগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট এবং আস্তিক-নাস্তিক বিভেদ তৈরি করে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। এসব মোকাবেলায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ কী?
জবাবে মন্ত্রী বলেন, “গণমাধ্যমসমূহে প্রকাশিত সংবাদ পর্যবেক্ষণের জন্য মিডিয়া মনিটরিং সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
অনলাইন সংবাদপত্রের উপর ‘প্রয়োজনীয় নজরদারির’ জন্য ‘অনলাইন গণমাধ্যম সহায়ক নীতিমালা’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীন বা উস্কানিমূলক লেখা থাকার বিষয়টি তুলে ধরে ইনু বলেন, “এই ধরনের লেখালেখিতে সাময়িক উত্তেজনা বা অশান্তি তৈরি হলেও সরকারে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আস্তিক-নাস্তিক বিভেদ সৃষ্টির মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি।
“ধর্মীয় অনুভূতি বা বিশ্বাসে আঘাত বা কোনো ধরনের অশান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বা উস্কানির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”
কিছু কিছু মিডিয়া/ব্লগ হিন্দু-মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে সমাজে আস্তিক-নাস্তিক বিভেদ সৃষ্টি করবার প্রয়াস চালাচ্ছে দাবি করে ইনু বলেন, “সরকার এই ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলার লক্ষ্যে আইনি দায়বদ্ধতা সৃষ্টিসহ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।”