বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বিপদ এখনও কাটে নি। সাম্প্রতিক গুপ্ত হত্যা বড় ধরনের রাজনৈতিক খেলা। নির্বাচনে অংগ্রহণ না করে আগুন সন্ত্রাস করে ব্যর্থ হয়ে পরাজিত শক্তি এ ধরনের গুপ্ত হত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে।
“পরাজিত আগুন সন্ত্রাসী, জঙ্গীগোষ্ঠি বেগম খালেদা জিয়াকে খুঁটি এবং ঘাঁটি বানিয়ে গুপ্ত হত্যা করছে। তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। পরাজিত খালেদা জিয়া পিছু হটে এই গুপ্ত হত্যা শুরু করেছে।”
গত এক বছর ধরে জঙ্গি হামলায় বেশ কয়েকজন লেখক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, প্রকাশক নিহত হওয়ার পাশাপাশি বিদেশি, পুরোহিত, যাজক এবং শিয়া ও আহমদিয়া মুসলিমরাও আক্রান্ত হন।
এসব হত্যাকাণ্ডে জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলাটিমকে মূলত দায়ী করলেও তার সঙ্গে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত করছে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, ব্যর্থতার দায় এড়াতে বিরোধী দলকে দায়ী করছেন সরকার প্রধান।
তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, “যারা বলবে এদেশে জঙ্গি সমস্যা প্রধান সমস্যা নয়, আমি তাদের সাথে দ্বি-মত পোষণ করব।
“বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজাকারের দল জামায়াতে ইসলামীর সাথে যতদিন শক্তি বাড়ানোর জন্য সন্ধি চুক্তিতে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত আমি বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে এই জঙ্গি তৎপরতা ও গুপ্ত হত্যায় সন্দেহের তালিকায় রাখব।”
জোট শরিক সাম্যবাদী দলের এই অনুষ্ঠানে বামপন্থি দলগুলোর উদ্দেশে জাসদ সভাপতি বলেন, “বাম পন্থার নামে যারা জঙ্গি গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক গুপ্ত হত্যাকে খাটো করে দেখছেন, তারা আত্নঘাতী কাজ করছেন।”
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।