সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একটি জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মী ও লেখক-প্রকাশককে হত্যা করছে।
“বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনোভাবেই বাংলাদেশে এ শক্তিকে মাথা চাড়া দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। এ লড়াইয়ে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক চর্চা।”
আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলের অর্জন, সংগ্রাম ও ত্যাগের প্রতিফলন ঘটনো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান আসাদুজ্জামান নূর।
আগামী ১০ ও ১১ জুলাই আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলটির সর্বশেষ কাউন্সিল হয় চার বছর আগে ২০১২ সালে ডিসেম্বরে।
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সপ্তমবারের মতো দলীয় সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
গত সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সে সময় দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সম্মেলন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠক শেষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এক প্রশ্নে সংস্কৃতিমন্ত্রী নূর বলেন, “জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সাংস্কৃতিক চর্চা প্রয়োজন। কিন্তু চর্চার ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সাংস্কৃতিক চর্চায় সরকারি কতগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষকে সাংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে আসতে হবে।”
আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থতি ছিলেন চয়ন ইসলাম, লিয়াকত আলী লাকী, রামেন্দু মজুমদার ও আসলাম সানী।