সভামঞ্চে খালেদা

কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে দল গোছানোর প্রক্রিয়া শুরুর পর মে দিবসে শ্রমিক সমাবেশে প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের সামনে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2016, 10:35 AM
Updated : 1 May 2016, 10:46 AM

রোববার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এই শ্রমিক সমাবেশে খালেদা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন।

বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে খালেদা জিয়ার সভাস্থলে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তিনি সোহরাওয়ার্দীতে পৌঁছান বিকাল সোয়া ৪টার পর। তিনি মঞ্চে ওঠার সময় নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।  খালেদা জিয়া হাত নেড়ে শ্রমিকদের অভিনন্দনের জবাব দেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামসহ শ্রমিক দলের নেতারা সভামঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বেলা দেড়টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে হাজির হতে থাকেন দুপুর থেকেই।

সমাবেশ উপলক্ষে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা।  

সভামঞ্চের সামনেই বড় হরফে লেখা দেখা যায়- ‘আমি একজন শ্রমিক এবং এ পরিচয়ে আমি গর্বিত’। উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা, শ্রমিক দলের পতাকা ও লাল পতাকা।

এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে উদ্যান এলাকায় মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন মিলনায়তনে পুলিশের জলকামাল, প্রিজন ভ্যানও প্রস্তুত দেখা গেছে।

এর মধ্যেও খালেদা জিয়া পৌঁছানোর ঘণ্টাখঅনেক আগে মঞ্চের পশ্চিম দিকে সামনের অংশে বসা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে পানির বোতল ছোড়াছুড়ি হয়। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে  পরিস্থিতি শান্ত হয়।

নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে গতবছর ৫ জানুয়ারি থেকে তিন মাসের টানা হরতাল-অবরোধের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আর কোনো সমাবেশ হয়নি বিএনপির। ঐতিহাসিক এই উদ্যানে খালেদার সর্বশেষ সমাবেশ হয় ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি।

আর নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিন এ বছর ৫ জানুয়ারি নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জনসভায় বক্তৃতা করেন খালেদা জিয়া।

ঢাকা মহানগর পুলিশ ২৪ শর্তে শ্রমিক দলকে মে দিবসের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়- এমন কিছু করা যাবে না।