‘মশাল’ ইনুর হাতেই

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদকে দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2016, 08:51 AM
Updated : 28 April 2016, 09:06 AM

এই প্রতীকের অপর দাবিদার শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান নেতৃত্বাধীন জাসদের কমিটি ‘গঠনতন্ত্র অনুসারে হয়নি’-পর্যবেক্ষণ দিয়ে তাদের বিষয়ে কিছু করার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

দলীয় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা নিয়ে মতবিরোধ থেকে বেরিয়ে গিয়ে জাসদের আলাদা কমিটি ঘোষণা করেছিলেন আম্বিয়া-প্রধান নেতৃত্বাধীন একাংশ, যেখানে সাংসদ মাঈনউদ্দিন খান বাদল ও ডা. মোস্তাক হোসেন সক্রিয় ছিলেন। অন্যদিকে কাউন্সিলে ইনুকে সভাপতি ও শিরিন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি হয়।

দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ কাদের হাতে উঠবে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় উভয় পক্ষ।

জাসদের প্রতীক মশাল

গত ৬ এপ্রিল দুই পক্ষের শুনানির পর বৃহস্পতিবার উভয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ইসির সিদ্ধান্ত সম্বলিত চিঠি পাঠান সহকারী সচিব রৌশন আরা। ইনুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠিটি হস্তান্তর করেন তিনি।

ওই চিঠিতে বলা হয়, “গত ১১-১২ মার্চ দলের জাতীয় সম্মেলনে গঠনতন্ত্র অনুসারে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি গঠন করায় ইনুকে সভাপতি ও কার্যকরী কমিটির তালিকা ইসির কাছে পাঠানোয় তাদের মশাল প্রতীক বহাল রাখা হলো।”

অপরদিকে শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “বাদল-আম্বিয়া-প্রধানের কমিটি গঠনতন্ত্র অনুসারে না হওয়ায় ও প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিল না করায় এ বিষয়ে ইসির করণীয় কিছু নেই।”

গত ৬ এপ্রিল ইসিতে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হাসানুল হক ইনু

ইসিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মইন উদ্দীন খান বাদল

গত ১২ মার্চ জাসদের কাউন্সিলে শিরিন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করার বিরোধিতায় বেরিয়ে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে সভাপতি করে আলাদা কমিটির ঘোষণা এসেছিল।

ওই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করা হয় নাজমুল হক প্রধানকে। মইনউদ্দিন খান বাদলকে করা হয় কার্যকরী সভাপতি, যিনি ইনু নেতৃত্বাধীন বিগত কমিটিতেও একই পদে ছিলেন।