‘ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ, অন্যদের বেশিরভাগ বাবা-ব্যবসায়ী’

বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আসা বেশিরভাগ নেতা ‘ছাত্রদের বাবা বা ব্যবসায়ী’ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা  হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2016, 05:45 PM
Updated : 11 Feb 2016, 05:50 PM

এই কমিটির ‘আকার ও চেহারা’ বিএনপির ‘দৈন্যদশার’ বহিঃপ্রকাশ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “বিএনপির রাজনীতি অত্যন্ত হতাশাব্যাঞ্জক। তাদের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নেতা-নেত্রীদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দরকার।”

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘রাজনৈতিক যোগাযোগ প্রশিক্ষণ’ বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।

হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

শনিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের ৭৩৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংসদ হওয়ার বিধান থাকলেও ‘পদবঞ্চিতদের’ যুক্ত করতে কমিটির পরিধি কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

“কমিটিতেযারা স্থান পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগ ছাত্রদের বাবা অথবা ব্যবসায়ী। এমনকি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও ছাত্রদলের এ কমিটিতে স্থান পেয়েছে,” বলেন হাছান।

তার অভিযোগের সমর্থন মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে নাম আসা তিন ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্যে।

ওই হল শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান রনি, সাহিত্য সম্পাদক মারুফ হাসান, উপ-বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহিকে ছাত্রদলের মুহসীন হল শাখা  কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

ছাত্রদলের হল কমিটিতে নিজের নাম দেখে বিস্মিত হয়েছেন জানিয়ে আব্দুর রহমান রনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে আমি ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত। এখন হল শাখার প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি।

“আমরা এই তিনজনই দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি করি।”

রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসান নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।জিয়াউর রহমানের মূর্তি ও খালেদা জিয়ার ছবিও ভাংচুর থেকে বাদ পড়েনি।

২০১৪ সালের অক্টোবরে রাজিব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের নতুন কমিটির ঘোষণার পর পদবঞ্চিতরা কয়েক মাস বিক্ষোভ হয়। সে সময়ও দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।