নতুন বিচারক নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন: খন্দকার মাহবুব

আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারক নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হয়েছে অভিযোগ করে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2016, 05:58 PM
Updated : 8 Feb 2016, 05:58 PM

সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের নতুন বিচারকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর ‘জ্যেষ্ঠতা ভঙ্গ করে আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগের প্রতিবাদে’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি।

খন্দকার মাহবুব বলেন, “আমরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তরফ থেকে অবিলম্বে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।

“ওই নীতিমালা প্রণয়নের পূর্বে সরকারের আশীবার্দপুষ্ট দলীয় দৃষ্টিকোণ হতে হাই কোর্ট বিভাগে কোনো বিচারক নিয়োগ করা হলে আইনজীবীরা পূর্বের ন্যায় শুধু প্রতিবাদই করবে না, এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানও নেবে।”

হাই কোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান সোমবার আপিল বিভাগের বিচারকের দায়িত্ব নিয়েছেন।

খন্দকার মাহবুব বলেন, “এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ জন বিচারককের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে দুজন বিচারককে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোন বিবেচনায় এই জ্যেষ্ঠতা সরকার লঙ্ঘন করেছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনজীবীসহ জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুবের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলছেন, এই বিচারকদের হাই কোর্টে নিয়োগ যথাসময়ে স্থায়ী হলে তারাই জ্যেষ্ঠ থাকতেন। 

“নীতিমালা থাকলে জনমনে আজ  বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যেত না এবং আমরা আইনজীবীরাও স্বস্তিবোধ করতাম,” সংবাদ সম্মেলনে বলেন খন্দকার মাহবুব।

সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহ-সভাপতি মোক্তার কবির খান, সহ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারি উজ্জ্বল, সদস্য মির্জা আল মাহমুদও সংবাদ সম্মেরনে ছিলেন।