তারেকের শাশুড়ির মামলা প্রত্যাহার দাবি বিএনপির

দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দ ইকবাল মান্দ বানুকে ‘রাজনৈতিকভাবে হয়রানি' করতে ‍তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2016, 12:03 PM
Updated : 7 Feb 2016, 12:03 PM

রোববার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করে অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিস জারির পর নির্দিষ্ট সময়ে হিসাব না দেওয়ায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক আর কে মজুমদার ঢাকার রমনা থানায় ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সাত্তার সরকার তদন্ত শেষে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

এরপর দুদকের করা মামলা ও সম্পদের হিসাব চেয়ে পাঠানো নোটিস বাতিল করতে তারেক রহমানের শাশুড়ি যে আবেদন করেন তা গত ২ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে হাই কোর্ট। এর ফলে নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশের চাঞ্চল্যকর ও শীর্ষ দুর্নীতির ঘটনাগুলোকে বৈধ্তা দিয়ে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করা হয়েছে। আমরা এহেন হয়রানির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, “বর্তমান সরকার দেশের পুলিশ বাহিনী, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আদালতকে ব্যবহার করে এতোদিন বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদদের হয়রানি, নিপীড়ন ও নির্যাতন করলেও এবার তারা বিরোধী দলের পরিবারের অরাজনৈতিক সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে একই ধরনের নিবর্তন ও হয়রানিমূলক আচরণ শুরু করেছে।”

বিবৃতিতে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর সামাজিক পরিচয় তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। আসামের প্রথম মুসলিম ব্যারিস্টার ও নিখিল ভারত আইন পরিষদের সদস্য (এমএনএ) ও আসাম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আলী খানের ছোট ছেলে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সাবেক প্রধান মরহুম মাহবুব আলী খানের স্ত্রী।

“তিনি ১৯৭৯ সালে দেশের সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য একজন মাত্র শিক্ষার্থী নিয়ে ‘সুরভী’ নামে স্কুল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের  যাত্রা শুরু  করেছিলেন। তার একান্ত প্রচেষ্টায় ওই প্রতিষ্ঠানে এখন ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে।

“এরকম একজন মহিয়সী শিক্ষানুরাগী নারী ও সমাজসেবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বলে আমরা মনে করি।”

ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো মামলা করে না। বরং সেইসব দুর্নীতিকে বৈধ্যতা দেয়।

“অন্যদিকে বিরোধী দলের রাজনীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আয়ের হিসাব দাখিলের মত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের মতো আচরণে দুর্নীতি দমন কমিশন দেশকে চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”