এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি ‘লঙঘন করলেও’ নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ অবস্থায় সেনা মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু ভোটের আশা করতে পারছেন না তারা।
সোমবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, “আমরা বলেছি- পৌর নির্বাচন যদি সত্যিকারের সুষ্ঠু করতে হয়, নিরপেক্ষ করতে হয়, তাহলে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করতে হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করলে আমরা কিছুটা আশা করতে পারি, নির্বাচন ফেয়ার হবে।”
বিএনপি নেত্রী এই দাবি জানানোর কয়েক ঘণ্টা আগে নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা মনে করছেন না।
দুপুরে টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি এখনও ভালো আছে। সেনা মোতায়েনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।”
দুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের পরেও ভোটে সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা নাকচ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিজিবি-র্যাব বলেছে, তারা ফোর্স বাড়িয়ে দেবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনা মোতায়েনের কোনো পরিস্থিতি হয়নি।”
ভোটের প্রচারণায় বিধি ভঙ্গের যে অভিযোগ উঠেছে, তাও ঠিক নয় বলে মনে করেন সিইসি। সেদিন তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার চলছে।
তবে খালেদা জিয়া বলছেন, “আওয়ামী লীগের লোকেরা প্রতিনিয়ত নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করে চলেছে। তাদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন কোনো অ্যাকশন নিচ্ছে না। স্বয়ং হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) নিজে সে আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। সেটাও কমিশনকে জানানো হয়েছে।”
সুষ্ঠু ভোট হলে অধিকাংশ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীদের জয়ের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি বলে দিতে পারি, ফেয়ার নির্বাচন হলে ৮০ শতাংশ ভোট পাব।”
বিজয় দিবস উপলক্ষে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘নির্বাসিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সাহসী মানুষের ঐক্য ও আন্দেলনের কোনো বিকল্প নাই’ শিরোনামে এই আলোচনা সভা হয়।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েকশ’ মুক্তিযোদ্ধা এতে অংশ নেন। গলায় লাল-সবুজের উত্তরীয় এবং মাথায় লাল-সবুজ টুপি পরে আসেন মুক্তিযোদ্ধারা। খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানস্থলে এলে তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।
পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের ভোট দিতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।