ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড সেন্টারে দোকান বরাদ্দের দুর্নীতির মামলায় অভিযোগপত্র রোববার আমলে নিয়ে পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হাসান মোল্লা।
এই মামলায় খোকা ছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
বনানীর ডিসিসি সুপার মার্কেট হাউজিং কমপ্লেক্সের বেসমেন্টের কার পার্কিং ইজারা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় খোকার বিরুদ্ধে একই দিন আরেকটি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এম আতোয়ার রহমান।
দোকান বরাদ্দের মামলায় খোকা ছাড়াও অন্য যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন- মোতালেব হোসেন, ফারুক হোসেন ও শাহাবুদ্দিন সাবু।
গত বছরের ২৪ অগাস্ট শাহবাগ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ আবদুস সালাম চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর খোকাসহ ৭ জনের রিবুদ্ধে আদালতে অভিযেগাপত্র জমা দেন।
ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পেশকার রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বনানীর ডিসিসি সুপার মার্কেটে হাউজিং কমপ্লেক্সের বেসমেন্টের কার পার্কিং ইজারা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় খোকাসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলাটিতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছে আদালত।
পেশকার রফিকুল ইসলাম বলেন, জামিনে থাকা তিন আসামি রোববার আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে এবং ন্যায়বিচার চান।
২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বনানী থানায় এই মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
ওই বছরের ১১ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক নুর হোসেন খান খোকাসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগে বলা হয়, “ওই কারপার্কিং ইজারা দেওয়ার জন্য ২০০৩ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে চারজন অংশ নেন। দরপত্রে বার্ষিক এক লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন জনৈক মিজানুর রহমান।
“কিন্তু সাদেক হোসেন খোকা মেয়র থাকাকালে এই দরপত্রে অনিয়ম করে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দরপত্র স্থগিত করেন।”