শনিবার বিকালে চট্টগ্রামে এক নাগরিক স্মরণ সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হব।
“সম্প্রতি বাংলাদেশকে অস্থির করার চেষ্টা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আজ হামলা হয়েছে, ফ্রান্সে হামলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা সফল হবে না।”
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রমকে নিজের দল ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সাফল্য বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল।
“বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি প্রধানমন্ত্রী না হতেন তাহলে বাংলাদেশে দুটি বিচার কখনই হত না। একটি জাতির জনকের হত্যার বিচার, অন্যটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আমরা এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ওই নাগরিক স্মরণ সভা হয়।
তার স্মৃতিচারণ করে তোফায়েল বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান ছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন বাবু ভাই। তার জীবনের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় গিয়েছিল। মিথ্যে মামলা মাথায় নিয়ে তাকে দেশান্তর হতে হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, “ইতিহাস সাক্ষী- আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু তার মন-প্রাণ আর অর্জিত অর্থ- সবই দিয়েছেন।
“তিনি কর্ণফুলীতে টানেল, কালুরঘাটে রেল-সড়ক সেতু, কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন, সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর এবং কর্ণফুলীর মোহনা থেকে মিরসরাই পর্যন্ত উপকূলীয় বাঁধে সড়ক দেখতে চেয়েছিলেন। সে কথা তিনি আমাকে বলেছিলেনও। তার সেই চাওয়া পূরণ করার সময় এসেছে।”
নাগরিক স্মরণসভা কমিটির সভাপতি সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাংসদ আফসারুল আমীন ও কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আলম বক্তব্য রাখেন।