আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যয়ন শেখ হাসিনার হাতে

পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয়নপত্র নিয়েই ইসিতে নিজেদের দলীয় সমর্থন নিশ্চিত করবেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2015, 07:19 AM
Updated : 28 Nov 2015, 01:06 PM

তা জানিয়ে শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক এ বি এম রিয়াজুল করিম কাওসার ইসি সচিবালয়ে চিঠি দিয়ে এসেছেন।

এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে পৌরসভায় মেয়র নির্বাচন হবে বলে কে প্রার্থীদের প্রত্যয়ন করবেন, তা শনিবারের মধ্যে জানাতে দলগুলোকে সময় বেঁধে দেয় ইসি।

আওয়ামী লীগের আগে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে তাদের প্রার্থীদের প্রত্যয়নের ক্ষমতাবান ব্যক্তির নাম জমা দিয়ে আসেন। এই দায়িত্ব খালেদা জিয়া দিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানকে।

পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও সংসদীয় বোর্ডের যৌথসভা হয়।

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি, শহর বা পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা স্থানীয় সাংসদদের পরামর্শ নিয়ে একজন মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন।

গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে শেখ হাসিনা

তা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সভানেত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। তা থেকে স্থানীয় সরকার/পৌর মেয়র মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত কবে।

আওয়ামী লীগের পর তাদের জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি তার দলীয় মেয়র প্রার্থী প্রত্যয়নের ক্ষমতাবান ব্যক্তির নাম জমা দেন ইসির উপ সচিব শামসুল আলমের কাছে। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী প্রত্যয়ন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।

ওয়ার্কার্স পার্টির মতো জাসদেরও প্রার্থী প্রত্যয়নের ক্ষমতা দলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে দিয়ে ইসিতে দলীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনুর চিঠি এসেছে।  

এদিকে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী প্রত্যয়নের ক্ষমতা দলীয় চেয়ারপারসন এইচ এম এরশাদ নিজের হাতেই রেখেছেন। এই সংক্রান্ত চিঠি শনিবারই ইসিতে দিয়ে আসেন দলের যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম।  

বাংলাদেশের ২৩৬ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নিতে ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন।

নতুন বিধি অনুযায়ী, মেয়র পদে দল মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যয়ন করতে পারবে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সম পর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাতে হবে ।

নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপদাধিকারীর প্রত্যয়ন নিয়ে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা নেই।

“কিন্তু এর বাইরে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যয়নের ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হলে তার নাম, নমুনা স্বাক্ষর ও পদবী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও ইসিতে পাঠাতে হবে।”